গর্ভবতী মায়েদের কী কী যত্ন নেওয়া প্রয়োজন-গর্ভবতী মায়েদের যত্নের উপায়
গর্ভবতী মায়েদের বিশেষ যত্ন নেওয়ার বিষয়টি সবার আগে লক্ষ্য করতে হবে।এই অবস্থায় তাদের যত্ন খুবই গুরুত্বপূর্ণ।গর্ভবতী মায়েদের কী কী যত্ন নেওয়া প্রয়োজন সেই দিকটি জানবো আজকের আর্টিকেল এর মাধ্যমে।
গর্ভবতী মায়েদের যত্নের উপরই তাদের ভ্রুন এর যত্ন নির্ভর করে।তাই এই যত্নের বিষয়টি বিবেচনা করতে হবে।মায়েদের ২ ধরনের যত্ন প্রয়োজন। যেমন- শারীরিক আর মানসিক যত্ন।এর পাশাপাশি আরো গুরুত্বপূর্ণ যত্ন নিয়ে আলোচনা করব।
পোস্ট সূচিপত্র :গর্ভবতী মায়েদের কী কী যত্ন নেওয়া প্রয়োজন
- গর্ভবতী মায়েদের শারীরিক যত্ন
- গর্ভবতী মায়েদের খাদ্যের গুনাগুনের পরিমান
- গর্ভবতী মায়েদের মানসিক যত্ন নেওয়া
- অন্যান্য বিষয়ে গর্ভবতী মায়েদের যত্ন নেওয়া
- টিকা প্রদানের জরুরি বিষয় মানা
- গর্ভবতী মায়েদের স্বাস্থ্য পরীক্ষা করার প্রয়োজনীয়তা
- গর্ভবতী মায়েদের নিরাপদ মাতৃত্বের বিষয়ে অবগত হওয়া
গর্ভবতী মায়েদের শারীরিক যত্ন
শারীরিক যত্ন বলতে সাধারণত আমরা শরীরে যত্ন কে বুঝি। আর এই বিষয়টি গর্ভবতী মায়েদের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। গর্ভবতী মায়েদের কি কি যত্ন নেওয়া প্রয়োজন তার মধ্যে শারীরিক যত্ন অন্যতম। মেয়েদের এই যত্ন সম্পর্কে সচেষ্ট হতে হবে। শারীরিক যত্নের জন্য সর্বপ্রথম যেটি করতে হবে সেটি হচ্ছে সুষম খাদ্য গ্রহণ।
শারীরিক যত্নের মধ্যে সুষম খাদ্য গ্রহণ করা গর্ভবতী মায়েদের জন্য সর্বপ্রথম কাজ। খাদ্য গ্রহণ বলতে আমরা বিভিন্ন ধরনের খাদ্য কে বুজাই। কিন্তু সুষম খাদ্য হচ্ছে এমন এক ধরনের খাদ্য যেটি ব্যক্তিকে শারীরিকভাবে সুস্থ রাখতে সাহায্য করে।
সুষম খাদ্যের মধ্যে সব খাদ্যে উপাদান বা গুনাগুন পর্যাপ্ত পরিমাণে থাকে। খাদ্যের বিভিন্ন যেমন- প্রোটিন, খনিজ লবণ, ভিটামিন , কার্বন ডাই অক্সাইড, ক্যালোরি, পানি ইত্যাদি পর্যাপ্ত পরিমাণে সুষম খাদ্যের মধ্যে বিদ্যমান।তাই সকল গর্ভবতী মায়েদের পর্যাপ্ত পরিমাণে সুষম খাদ্য খাওয়া বাঞ্জনীয়।
গর্ভবতী মায়েদের খাদ্যের গুনাগুনের পরিমান
ভিটামিন : গর্ভবতী মায়েদের জন্য ভিটামিনের চাহিদা অপরিসীম। কিন্ত কতটুকু ভিটামিন দরকার? তা সকলেই অজানা। এই বিষয়টাও জানানোর চেষ্টা করবো। গর্ভাসবস্থায় ভিটামিন সি ও ভিটামিন এ গ্রহণ করে আবশ্যক। এগুলোর পাশাপাশি ভিটামিন ডি এর ও প্রয়োজন রয়েছে। কারণ ভিটামিন ডি হাড় গঠন করতে সাহায্য করে।
পর্যাপ্ত পরিমাণে ভিটামিন পেতে হলে ২৪০-২৫০গ্রাম শাকসবজি এবং ৫৫-৫৬ গ্রাম ফল খাওয়া আবশ্যক। এই অবস্থাতে ফলিক এসিডের ও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে কারণ একটি নতুন কোষ সৃষ্টিতে ভূমিকা রাখে।
প্রোটিন :ভ্রুনের বিকাশের জন্য প্রোটিন অপরিহার্য।ভ্রুনের অঙ্গ এবং কলা সৃষ্টিতে, জরায়ু, প্লাসেন্টা হিমোগ্লোবিন ও রক্ত রস ঠিক রাখতে প্রচুর পরিমাণে প্রোটিন প্রয়োজন। প্রোটিন পাওয়া যায় এমন কিছু খাবারের নাম হলো :মাছ, ডিম, মাংস, ডাল ইত্যাদি।
খনিজ লবণ :দৈনিক ১০০০মিলিগ্রাম ক্যালসিয়াম খাওয়া জরুরী সকল গর্ভবতী নারীদের জন্য। খনিজ লবণ বলতে ক্যালসিয়াম, ফসফরাস, লৌহ এবং আয়োডিনকে বুঝি। সুতরাং এমন সকল খাবার খেতে হবে যেগুলোর মধ্যে এই সকল গুন বিদ্যমান।যেমন:লৌহের জন্য সবুজ শাক কিংবা কলিজা খাওয়া যেতে পারে। লৌহের অভাবে রক্তশূন্যতা দেখা দিতে পারে।
আয়োডিনের অভাব পূরণ করতে পারে এমন কিছু খাদ্য হলো সামুদ্রিক মাছ এবং আয়োডিনযুক্ত লবণ। এইসবের পাশাপাশি ক্যালসিয়াম এবং ফসফরাসও অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। দুধ ও ছোট মাছে ক্যালসিয়াম এবং ফসফরাস পাওয়া যায়।
ক্যালোরি :হয়তো আমরা সকলেই জানি মৌল বিপাকের হার গর্ভবতী হওয়ার পরে বৃদ্ধি পায়। কারণ তখন ভ্রুনের বিপাকে সাথে মায়ের বিপাকের হাড় সংযুক্ত থাকে।এছাড়াও মায়ের চলাফেরা এবং কাজে শক্তির প্রয়োজন হয়ে থাকে। তাই এই অবস্থায় অত্যাধিক ক্যালরিযুক্ত খাবার খেতে হয়।মোট ২৪০০ ক্যালোরি খাদ্য গ্রহণ করা প্রয়োজন। ক্যালোরি যুক্ত কিছু খাদ্য হলো: চিনি, গুড়, রুটি, ভাত ইত্যাদি।
পানি:গর্ভবতী নারীদের পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি গ্রহণ করা দরকার। এক্ষেত্রে পানির উপকারিতা অনেক। তাই দৈনিক গর্ভাবস্থায় ৭-৮ গ্লাস পানি পান করা অবশ্যক।
গর্ভবতী মায়েদের মানসিক যত্ন
প্রাকৃতিক নিয়মের মাধ্যমে মেয়েরা গর্ভবতী হয়ে থাকে। তবে গর্ভাঅবস্থায় তাদের বিশেষ যত্নের প্রয়োজন হয়ে থাকে। কারণ যত্ন ব্যতীত গর্ভের ভ্রুণ সুস্থ থাকেনা। অভাবে বা অবহেলার কারণে অনেক সময় বিভিন্ন ক্ষতির সম্মুখীন হতে পারে। তাই বিশেষ যত্নের বিষয়টি সবার আগে নিশ্চিত করতে হবে। যত্ন বলতে শুধু শারীরিক যত্নকেই বোঝায় না এর পাশাপাশি মানসিক যত্নকেও বোঝায়।
যত্ন বলতে শরীর এবং মনের যত্নকে বোঝানো হয়েছে। কারণ শরীর এবং মন একে অপরের সাথে সম্পৃক্ত। তাই গর্ভবতী মায়েদের যেমন শারীরিক যত্ন নেওয়া প্রয়োজন ঠিক একইভাবে মানসিক যত্নের বিষয়টিও নিশ্চিত করতে হবে। অর্থাৎ সব সময় মনকে হাসিখুশি এবং আনন্দের সহিত প্রফুল্ল রাখতে হবে। এই কাজটি করা প্রত্যেক গর্ভবতী মায়েদের জন্য আবশ্যক। মন ভালো রাখার জন্য অনেক কিছুই করা যায় যেন -
- পরিবারের সকলের সাথে হাসি খুশি থাকা। সবার সাথে ভালো সম্পর্ক গড়ে তোলা
- সবসময় মনকে আনন্দে রাখার চেষ্টা করা
- সব বিষয়ে ভালো চিন্তা গড়ে তোলা
- নেতিবাচক চিন্তা মনে না আনা।
- বই পড়া কিংবা পরিবারের সকলের সাথে ইতিবাচক কথা বলা।
অন্যান্য বিষয় গর্ভবতী মায়েদের যত্ন নেওয়া
গর্ভবতী মায়েদের শারীরিক আর মানসিক যত্নের পাশাপাশি আরো বেশ কিছু যত্নের প্রয়োজনীয়তা রয়েছে। সে সকল যত্ন এমতাবস্থায় শরীরের জন্য খুব উপকারী হয়ে থাকে।এমন বেশকিছু কার্যক্রম এর কথা উল্লেখ করা হলো:
পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন-পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতা গর্ব অবস্থায় খুব জরুরী একটি বিষয় ।এটি বলতে আমরা বুঝি কাপড় নিয়মিত ধোঁয়া , আশেপাশের পরিবেশ পরিষ্কার রাখা, নিয়মিত দাঁত মাজা, চুল এবং নখের যত্ন নেওয়া পাশাপাশি খাবার গ্রহণ করার পরও দাঁত ব্রাশ করা । একজন গর্ভবতী মাকে এই সকল বিষয় মেনে চলতে হবে।
নিয়মিত গোসল করা -গর্ভবতী মায়েদের কি কি যত্ন নেওয়া প্রয়োজন এই বিষয়টি ইতিমধ্যে উপস্থাপন করা হয়েছে। তবে এই সকল বিষয় ছাড়াও প্রাথমিকভাবে কিছু গুরুত্বপূর্ণ যত্নের মাঝে নিয়মিত গোসল করা অন্যতম। প্রতিটি গর্ভবতী মায়েদের ঈষৎ গরম পানি দিয়ে প্রতিদিন গোসল করা আবশ্যক।
পোশাক -পোশাকের বেপারে সকলকেই সচেতন থাকতে হবে। গর্ভাবস্থায় সুতির ঢিলে জামা পরিধান করতে হবে। অন্যদিকে উঁচু সমৃদ্ধ জুতা পরিহার করতে হবে। এইসব প্রয়োজনীয় দিকে দৃষ্টি রাখতে হবে।
বিশ্রাম এবং ব্যায়াম -গর্ভাবস্থায় মায়েদের অনেক স্বাভাবিক ঘরের কার্যক্রম করতে হয়। তবে প্রতিদিন এই স্বাভাবিক কার্যক্রমের পরে বিশ্রাম নিতে হবে পাশাপাশি সকাল সন্ধ্যা হাটাহাটি করতে হবে। এতে করে শরীর ঠিক থাকবে। এই অবস্থায় হালকা-পাতলা ব্যায়াম শরীরকে ফুরফুরে রাখতে এবং জরতা দূর করতে সাহায্য করে।
কিন্তু এই অবস্থায় যেকোনো ভারী কাজ পরিহার করতে হবে তা না হলে এর ফলে বিভিন্ন ক্ষতির সম্মুখীন হতে পারে গর্ভবতী মায়েরা।সঠিক সময় যেমন : দুপুরে বিশ্রাম নিতে হবে, কোন কাজ করার পর বিশ্রাম নিতে হবে। দিনে কমপক্ষে ৭-৮ ঘন্টা ঘুমাতে হবে। ঘুম জরুরি একটি দিক।
টিকা প্রদানের জরুরি বিষয় মানা
মেয়েদের সাধারণত গর্ভাবস্থায় কিংবা এর আগে বিশেষ এক ধরনের টিকা নিতে হয় যেটি কে আমরা টিটি টিকা বলে থাকি।এই অবস্থায় মাকে একটি টিকা করা হয় যার নাম হল টিটেনাস টাক্সয়েড। প্রতিটি মার এটি গ্রহণ করা বাঞ্জনীয়। তবে যদি কোন নারী আগেই পাঁচবার এই টিকা দিয়ে থাকে তাহলে তার আর কোন টিকা দেওয়ার প্রয়োজন নেই।
কিন্তু যদি এই বিশেষ টিটি টিকা কোন মেয়ে আগে না দিয়ে থাকে তাহলে গর্ভকালীন অবস্থায় পঞ্চম বা ষষ্ঠ মাসের মধ্যে একটি টিটিকা গ্রহণ করতে হবে। এক মাস পর আরেকটি টিকা দিতে হবে। আশা করা যায় টিকা নিয়ে আর কোন সমস্যার সৃষ্টি হবে না।
তবে আরেকটি কথা যদি গর্ভবতী মায়েরা তাদের প্রথম গর্ভধারণ অবস্থায় দুইবার টিকা দিয়ে থাকে এবং পাঁচ বছরের মধ্যে যদি আবার গর্ভধারণ করে সে ক্ষেত্রে দ্বিতীয়বারের মাথায় পঞ্চম মাসে শুধুমাত্র একটি টিকা দিলেই চলবে।সে ক্ষেত্রে আরেকটি কথা আছে যদি প্রথম গর্ভধারণের পরে পরবর্তী গর্ভধারণ পাঁচ বছরের বেশি হলে এই টিকাটি দুইবার দিতে হবে।
গর্ভবতী মায়েদের স্বাস্থ্য পরীক্ষা করার প্রয়োজনীয়তা
এমতাবস্থায় স্বাস্থ্য পরীক্ষা করা প্রতিটি মায়ের জন্য সর্বপ্রথম এবং প্রধান কাজ। কারণ এর মাধ্যমে ফিটাসের সুস্থতা জানা যায়। একজন গর্ভবতী মহিলার স্বাভাবিক ক্ষেত্রে তিন মাস পর পর স্বাস্থ্য পরীক্ষা করা বাধ্যতামূলক। কারণ এর ফলে একটি বাচ্চার সুস্থতা নিশ্চিত করা যায়। এই স্বাস্থ্য পরীক্ষা করার জন্য যে সমস্ত পরীক্ষা নিরীক্ষা অবশ্যক সেগুলো হলো :-
প্রথম তিন মাস থেকে গর্ভবতী মায়েদের যেসব পরীক্ষা করতে হবে সেগুলো হলো :-
- রক্তের নিয়মিত পরীক্ষা করা :-গর্ভবতী মায়ের রক্তের পরীক্ষা করতে হবে অর্থাৎ রক্তের যে গ্রুপ সেটে পরীক্ষা করা আবশ্যক।এর পাশাপাশি ডায়াবেটিস পরীক্ষা, যৌন রোগ পরীক্ষা, হিমোগ্লোবি ইত্যাদি পরীক্ষা করতে হবে। এর ফলে দেহে কোন সমস্যা থাকলে তা সমাধান করা যায়।
- মূএ পরীক্ষা করা :-গর্ভবতী মায়ের গর্ভধারণ নিশ্চিত করতে মূত্র পরীক্ষা করতে হবে। এতে করে গর্ব সঞ্চার নিশ্চিত করা হয়।
- আলট্রাসাউন্ড পরীক্ষা :-আল্ট্রাসাউন্ড পরীক্ষার মাধ্যমে গর্বে থাকা ফিতাসের সুস্থতা নিশ্চিত করা হয়। এর পাশাপাশি সিটাস কেমন সুস্থ কিংবা ওজন এবং সংখ্যা নির্ণয় করা যায়।
পরবর্তী তিন মাস পরে যে সকল পরীক্ষা করতে হবে সেগুলো হলো :-
- ফিটাসের সুস্থতা পরীক্ষা করতে হবে।
- ফিটাসের শারীরিক গঠন কেমন বিকাশিত হয়েছে তার পরীক্ষা করা।
- অ্যামনিউটিক ফ্লুডের পরিক্ষা করতে হবে।
- ফিটাসের হৃদপিণ্ড চলছে কিনা সেটির পরিক্ষা করা।
এর পরের ৩ মাস যে সকল পরিক্ষা করতে হবে সেগুলো হলো:-
- আল্ট্রাসউন্ড পরিক্ষা করা:-এর মাধ্যমে ফিটাসের বয়স,ওজন ইত্যাদি নিশ্চিত করা হয়।যদি কোন সমস্যা দেখা দেয় সাথে সাথে তার মোকাবেলা করা হয়ে থাকে যাতে এটির কোন ক্ষতি না হয়।সুস্থ বাচ্চা নিশ্চিত করতে ফিটাসের পজিশন, বয়স, প্লাসেন্টার পজিশন, অ্যামনিউটিক ফ্লুইডের পরিমাণ ইত্যাদি পরীক্ষা করা হয়।
- ওজন পরিক্ষা করতে হবে:-শেষ তিন মাসের ভিতরে ফিটাসের ওজন কতটুকু হয়েছে সেটির দিকে লক্ষ্য করতে হবে।সাধারণত ফিটাসের যেই স্বাভাবিক ওজন হবে তা হলো ১১ কেজি।বাচ্চার ওজন যদি ১১ কেজি বৃদ্ধি পায় তাহলে ফিটাসকে সুস্থ হিসেবে গন্য করা হয়।
- গর্ভকালীব মায়েদের ভালোমন্দ খাবার খাওয়ার পাশাপাশি প্রতিদিন নিয়মিত ডাক্তারের কাছে চিকিৎসা নিতে হবে।ডাক্তার বিভিন্ন পরিক্ষা- নিরীক্ষা দিয়ে থাকলে সময়মতো সকল পরিক্ষা করতে হবে।এতে করে বাচ্চা সুস্থ থাকে।গর্ভে কোন ধরনের সমস্যা হলে ডাক্তারের পরামর্শ গ্রহন করতে হবে এবং সেই অনুযায়ী চিকিৎসা নিতে হবে।
গর্ভবতী মায়েদের গর্ভের নিরাপতার বিষয়ে অবগত হওয়া
গর্ভধারণ প্রতিটি মায়ের অধিকার। এটি মূলত একটি প্রাকৃতিক নিয়ম প্রতিটি মায়ের ক্ষেত্রেই। তবে প্রতিটি গর্ভবতী মায়েদের গর্ভধারণ কমবেশি ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে থাকে । এই ঝুঁকি এড়ানোর জন্য প্রতিটি গর্ভবতী নারীকে নিরাপদ মাতৃত্ব সম্পর্কে অবগত হতে হবে। গর্বের নিরাপত্তার বিষয়টি প্রতিটি মায়ের ক্ষেত্রেই গুরুত্বপূর্ণ। তাই গর্ভে নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে গর্ভধারণ থেকে শুরু করে বাচ্চা প্রসব হাওয়া পর্যন্ত প্রতিটি মাকে পর্যাপ্ত পরিমাণে সেবা দান করা অপরিহার্য। এই বিষয়টি গর্ভবতী মায়েদের নিশ্চিত করতে হবে।
যখনই গর্ভধারণ নিশ্চিত করা হবে ঠিক সেই মুহূর্ত থেকে প্রসবকালীন পর্যন্ত এবং বাচ্চা প্রসব হওয়ার পরবর্তী সময়েও বাচ্চা এবং মায়ের বিশেষ স্বপ্নের বিষয়টি প্রত্যেক পরিবারের সদস্যের অবগত হতে হবে। এর পাশাপাশি মায়েদেরও এই বিষয়টি লক্ষ্য রাখতে হবে।
যেমন বলা যায় গর্ভবতী হওয়ার পর মায়েদের হালকা কাজ করা উচিত এবং বিভিন্ন ভারী কাজ পরিহার করা উচিত। কারণ ভারী কাজ করার ফলে মা এবং বাচ্চা দুজনই ক্ষতির সম্মুখীন হতে পারে। তাই এ বিষয়ে যেমন মায়েদের সতর্ক থাকতে হবে ঠিক একইভাবে পরিবারের সকল সদস্যেরও অবগত হতে হবে।
গর্ভবতী হওয়ার ক্ষেত্রে প্রতিটি নারী নিজস্ব মতামত থাকতে হবে। এর পাশাপাশি উপযুক্ত বয়স হলেই গর্ভধারণ করতে হবে তা না হলে অপরিনত বয়সে গর্ভধারন করলে মা এবং বাচ্চা ২ জনেরই ক্ষতি হতে পারে।প্রসবকালীন সময় মা এবং বাচ্চার জীবনের ঝুঁকির সম্মুখীন হবে।তাই উপযুক্ত বয়সে গর্ভধারন করা উচিত।
প্রতিটি নারীর গর্ভধারণের পরিণত বয়স হলো২০ বছরের পর। এই বিষয়টি সকলের সচেতন হতে হবে।এর ফলে মা ও শিশুর মৃত্যুর হার রোধ করা যেতে পারে।যদি গর্ভ কালে কোন সমস্যার সৃষ্টি হয় তাহলে সাথে সাথে ডাক্তার কাছে যেতে হবে।বাল্যবিবাহ বন্ধ করতে হবে।
শেষ কথা
এই আর্টিকেল এর মাধ্যমে আমরা গর্ভবতী মায়েদের কী কী যত্ন নেওয়া প্রয়োজন - গর্ভবতী মায়েদের যত্নের উপায় সম্পর্কে বিস্তারিত জানানোর চেষ্টা করেছি।সকল মায়েদের এবং মেয়েদের এই বিষয়ে শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত জানা উচিত।আর এই পুরো পোস্টটি পড়া উচিত।
কারন এতে সকল গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে আলোচনা করা হয়েছে যাতে মা এবং বাচ্চা সুস্থ থাকতে পারে।এইরকম আরো গুরুত্বপূর্ণ আর্টিকেল পেতে হলে ব্লগার মিমি ওয়েবসাইটির পাশে থাকবেন।যাতে এইরকম আরো জরুরি পোস্ট সবার আগে আপনাদের কাছে পৌঁছায়।
মিম ব্লগার আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন।প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url