কোন কোন খাবারে শর্করা পাওয়া যায়-শর্করার অভাবজনিত রোগ কী কী
শর্করা আমাদের দেহের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। শর্করা বা কার্বোহাইড্র শক্তি উৎপাদন মধ্যে অন্যতম। এই আর্টিকেল মাধ্যমে আমরা জানবো শর্করা কী? কোন কোন খাবারে শর্করা পাওয়া যায়? শর্করার অভাবজনিত রোগ কী কী?শর্করা কে কার্বোহাইড্রেট বলেও অভিহিত করা হয়।
শর্করা প্রতিটি মানব দেহের জন্য খুবই জরুরী একটি উপাদান। মানুষের উচিত শর্করাযুক্ত খাদ্য গ্রহণ করা।কোন একটি খাদ্য উপাদান শরীরে কম হলে বিভিন্ন ধরনের অসুবিধা সৃষ্টি হয়। বিভিন্ন খাদ্য উপাদান মিলে দেহের চাহিদা পূরণ হয়ে থাকে। এর মধ্যে শর্করা অন্যতম।তাই খাদ্য তালিকায় শর্করা যুক্ত খাবার রাখা প্রয়োজন।
পোস্ট সূচিপত্র :কোন কোন খাবারে শর্করা পাওয়া যায়
- শর্করা কী?
- শর্করার শ্রেণীবিভাগ সম্পর্কে বিস্তারিত
- কোন কোন খাবারে শর্করা পাওয়া যায়
- মানব দেহের জন্য শর্করার প্রয়োজনীয়তা ও উপকারীতা
- শর্করার অভাবজনিত রোগ গুলো কী কী
- অভাবজনিত রোগ থেকে প্রতিকার পাওয়ার উপায়
শর্করা কী
প্রকৃতি অনুযায়ী সকল খাদ্য উপাদানকে ৬ ভাগে ভাগ করা হয়েছে এরমধ্যে শর্করা একটি। শর্করাকে শক্তি উৎপাদনকারী উপাদান অভিহিত করা হয়। অন্যান্য সকল খাদ্য উপাদানের তুলনায় শর্করা অথবা কার্বোহাইড্রেট প্রকৃতিতে বেশি পরিমাণে পাওয়া যায়। তাই শর্করা বিদ্যমান এমন সকল খাদ্য গ্রহন করতে হবে।
শর্করা বা কার্বোহাইড্রেটের মূল উপাদান হচ্ছে কার্বন, হাইড্রোজেন এবং অক্সিজেন। কার্বোহাইড্রেট এর বিভিন্ন অনুতে অর্থাৎ হাইড্রোজেন ও অক্সিজেন সব সময় ২:১ অনুপাত থাকে। উদ্ভিদের মাধ্যমে এই সকল কার্বোহাইড্রেট বেশি পরিমানে পাওয়া যায় যেমন :-বীজ, কাণ্ড বা বিভিন্ন গাছের মূল ইত্যাদি।
মানবদেহের কর্মশক্তির জন্য প্রায় ৭০% শক্তি শর্করা থেকে গ্রহণ করা হয়। শর্করা হচ্ছে শক্তি উৎপাদনের উৎস।প্রায় এক গ্রাম কার্বোহাইড্রেট বা শর্করা থেকে চার ক্যালরি পরিমাণে শক্তি পাওয়া যায়। তাই এই উপাদানটির ভূমিকা অপরিহার্য।
শর্করার শ্রেণীবিভাগ সম্পর্কে বিস্তারিত
শর্করাকে সাধারণত দুই ভাগে ভাগ করা হয় যেমন: :শর্করা, অশর্করা।শর্করা হচ্ছে কার্বন, হাইড্রোজেন অক্সিজেন দিয়ে গঠিত এক ধরনের পদার্থ যেটিকে আমরা কার্বোহাইড্রেট বলে থাকি।প্রকৃতিতে যত ধরনের যৌগ পদার্থ আছে তার মধ্যে কার্বোহাইড্রেট এর পরিমাণ সবচেয়ে বেশি। কার্বোহাইড্রেট এর উপর নির্ভর করে গঠিত হয়েছে শর্করা এবং অশর্করা।
শর্করা:-যে সকল কার্বোহাইড্রেট শর্করা জাতীয় সেগুলো সাধারণত এক ধরনের দানাদার পদার্থ হয়ে থাকে। এই ধরনের পদার্থ খুব সহজে পানিতে দ্রবীভূত হয়ে থাকে। এর পাশাপাশি খেতেও মিষ্টি লাগে। আমরা অনেকেই এই শর্করাযুক্ত উপাদানগুলোর সাথে পরিচিত যেমন :গ্লুকোজ, ফ্রুক্টোজ,সুক্রোজ ইত্যাদি। এই সকল নামের প্রায় সকলেই ধারনা লাভ করেছি।
অশর্করা:-এই উপাদানটি শর্করা থেকে একেবারে ভিন্নধর্মী অর্থাৎ বিপরীত কাজ করে থাকে। যেমন অশর্করা যুক্ত কার্বোহাইড্রেট গুলোতে যে ধরনের পদার্থবিদ্যমান সেগুলো অদানাদার।এ সকল পদার্থ পানিতে দ্রবীভূত হয় না অর্থাৎ অদ্রবণীয়। খেতেও তেমন স্বাদ লাগেনা যেমন : শ্বেতসার, সেলুলোজ ইত্যাদি।
কোন কোন খাবারে শর্করা পাওয়া যায়
শর্করা বিভিন্ন প্রকৃতিক উৎস থেকে অধিক পরিমানে পাওয়া যায়।এই কোন কোন খাবারে রয়েছে সেটি জানার আগে এর গুনাগুন সম্পর্কে জানা উচিত। শর্করা হচ্ছে শক্তির উৎস। মস্তিষ্ক থেকে শুরু করে পা পর্যন্ত বিভিন্ন কোষে কোষে শক্তি সৃষ্টি করতে সাহায্য করে।আমাদের দেহে এনার্জি জোগাতে শর্করা গ্লুকোজ এ পরিণত হয়।
শর্করা পানির সাথে দ্রুত দ্রবীভূত হয় মিষ্টি জাতীয় বিভিন্ন খাদ্য যেমন কোমল পানিও বা হালকা স্বাধ যুক্ত খাবার। অন্যদিকে যেসব শর্করা দ্রুত হজম হয় না সেগুলোকে জটিল শর্করা বলা হয় যেমন -ডাল,গম ইত্যাদি।তবে এ জাতীয় খাবার খাওয়ার আগে ডায়াবেটিস এর দিকটি লক্ষ্য রাখতে হবে।কারন অধিক পরিমানে শর্করা বিশেষ কিছু মানুষের ক্ষেত্রে ক্ষতিকর হতে পারে।
শর্করা যুক্ত খাবার যেমন:- গুড়, আলু, ভাত, চিনি মুড়ি ইত্যাদি প্রয়োজনের বেশি পরিমাণে খেলে শরীরে চর্বি বৃদ্ধি পেতে পারে এমনকি ডায়াবেটিস এর মাএা বেড়ে যেতে পারে তাই খাওয়ার পরিমাণ খেয়াল রাখতে হবে। যেসব খাবারে রক্তে শর্করা কমবে তা হলো:-কুমড়োর বিজ,মটরশুঁটি, লেবুর রস,বাদাম,চিয়া সিড, আদা, কুমড়ো।
শর্করা জাতীয় খাবারের প্রধান কয়েকটি উৎস সম্পর্কে উল্লেখ করা হলো:-
- মিষ্টি আলু
- গম
- চাল
- ডাল
- সুজি
- মধু
- আখ
- বার্লি
- চিনি
- গুড়
- খেজুর
- পাকা কলা
- রসুন
- আলু
এগুলো ছাড়াও আরো কিছু খাবারের শর্করা বা কার্বোহাইড্রেট পাওয়া যায় সেগুলো হলো:-
- কচু
- শাকসবজি
- ছোলা
- কাঁচা কলা
- মিষ্টি ফল
- ফলের খোসা
- বাদাম
- গাজর
- ফুলের মিষ্টি রস
- মিসরি
- শুখনো ফল
শর্করা জাতীয় খাবার বেশি খেলে সেই সকল খাবার খাদ্যনালীতে গিয়ে খাবারে থাকা আয়রনের সঙ্গে মিশে বিক্রিয়া করে ফসফেট এবং ফাইটেট তৈরি করে যেগুলো পানিতে অদ্রবণীয়। শর্করা যুক্ত খাবারের পরিমানে ফসফেট এবং ফাইটিক এসিড বিদ্যমান থাকে। এই পদার্থগুলো খাদ্যনালী থেকে শোষিত হয়ে রক্তে প্রবেশ করতে পারে না।
মানব দেহের জন্য শর্করার প্রয়োজনীয়তা ও উপকারীতা
এটি জানার আগে এর মূল কাজ সম্পর্কে জানা উচিত। কার্বোহাইড্রেট বা শর্করা কে রাসায়নিক ভাবে ৩ ভাগে ভাগ করা হয় যেমন :- মনোস্যাকারাইড,পলিস্যাকারাইড,ডাইস্যাকারাইড।এগুলো সব এক একটা বিভিন্ন বিভিন্ন কাজ সম্পন্ন করে থাকে। কার্বোহাইড্রেট বা শর্করার এই প্রক্রিয়া গুলো একটির সাথে একটি পদার্থ যুক্ত হয়ে থাকে যেমন:-
সুক্রোজ- গ্লুকোজ +ফ্রুক্টোজ
মল্টোজ-গ্লুকোজ + গ্লুকোজ
ল্যাকটোজ-গ্লুকোজ+গ্যালাকটোজ
মনোস্যাকারাইড বলতে এক অণু বিশিষ্ট কার্বোহাইডেট কে বোঝায়। এর মধ্যে বিদ্যমান কার্বন, হাইড্রোজেন, অক্সিজেন। এটিকে এক অণু বিশিষ্ট কার্বোহাইড্রেট বলা হয়। অন্যদিকে ডাইস্যাকারাইড হচ্ছে দুটি মনোস্যাকারাইস কে একত্রিত করলে যদি পাওয়া যায় সেটি। যেমন ;-মল্টোজ, ল্যাকটোজ ইত্যাদি।
পলিস্যাকারাইড হলো অনেকগুলো মনোস্যাকারাইড অনু নিয়ে গঠিত। অর্থাৎ যে সকল কার্বোহাইড্রেট ২ এর অধিক মনোস্যাকারাইড রয়েছে তাকে পলিস্যাকারাইড বলে যেমন:- সেলুলোজ, স্টার্চ। এগুলো হচ্ছে বিভিন্ন ভাগ।মানব দেহে এগুলোর কাজ অপরিসীম।
মানব দেহের জন্য শর্করার প্রয়োজনীয়তা গুলো হলো:-
- দেহে প্রয়োজনীয় তাপ শক্তি উৎপন্ন করতে শর্করা বিশেষ ভুমিকা রাখে।
- বিপাকীয় কাজে সাহায্য করতে পর্যাপ্ত পরিমাণে শক্তি সৃষ্টি করে।
- কাজ করার শক্তি জোগায়।
- দেহের অপাচ্য পদার্থ বের করতে আঁশযুক্ত শর্করা সাহায্য করে যেমন আখ।
- কোষ্ঠকাঠিন্য রোধ করে।
শর্করার কাজ রয়েছে তার মধ্যে প্রথম এবং প্রধান কাজ হলো তাপ এবং শক্তি সৃষ্টি। যে খাদ্যে প্রোটিন অল্প পরিমাণে থাকে সেই খাদ্যকে তাপ উৎপন্ন থেকে বিরত রাখে। শর্করা স্নেহ পদার্থ ভাঙতে সাহায্য করে এর ফলে কিটোসিস রোগের হাত থেকে রক্ষা পাওয়া যায়। বিভিন্ন প্রোটিনযুক্ত খাদ্য গ্রহণে সাহায্য করে থাকে। এর পাশাপাশি ভিটামিন এবং ধাতব লবণ যুক্ত খাদ্যদ্রব্য গ্রহণেও সহায়তা করে।
দেহের বিভিন্ন রোগ থেকে মুক্তি দিতে শর্করার ভূমিকা অত্যাধিক।শর্করাকে মস্তিষ্কের একমাত্র জ্বালানি হিসেবে প্রাধান্য দেওয়া হয় কারণ এটি মস্তিষ্কের কাজ করার শক্তিকে বৃদ্ধি করে। কোষ্ঠকাঠিন্য নামক রোগ দূর করতে সেলুলোজ যুক্ত কার্বোহাইড্রেট সাহায্য করে থাকে। দেহে শর্করা কিংবা কার্বোহাইড্রেট এর পরিমাণ বেশি হলে গ্লাইকোজেন গ্রুপে এটি যকৃতে জমা থাকে এবং দরকারে শরীরের কাজে ব্যবহৃত হয়।
পুষ্টিবিজ্ঞানীদের মতে, মানুষের দেহে প্রতিদিন খাবারের মোট ক্যালোরির ৬০ শতাংশ শর্করা থাকা প্রয়োজন।তবে যে সকল ব্যক্তি ওজন কমাতে চায় তাদের জন্য শর্করার পরিমাণ হতে হবে ৩৫ শতাংশ। একজন স্বাভাবিক ওজনের পূর্নবয়স্ক মানুষের ক্ষেত্রে নূন্যতম ৩০০ গ্রাম শর্করা জাতীয় খাবার গ্রহন করা উচিত।সুতরাং মানুষ বেঁধে শর্করা জাতীয় খাবারের পরিমাণ নির্ধারণ করতে হবে।
শর্করার অভাবজনিত রোগ গুলো কি কি
দেহে শর্করা আর অভাব হলে ওজন হ্রাস পেতে শুরু করে পাশাপাশি কাজের কর্মশক্তি ও কমে যায়। প্রয়োজনীয় পোষ্ট উপাদান গুলোর মধ্যে থাকতে হবে প্রোটিন, স্বাস্থ্যকর চর্বি এবং কার্বোহাইড্রেট। রক্তে শর্করার মাত্রা কমে গেলে ক্ষুদা বৃদ্ধি পায়। অন্যদিকে মেজাজ খিটখিটে হয়ে যায় ও আরো নানা ধরনের লক্ষণ দেখা যায়। আবার দেহে শর্করার পরিমাণ বৃদ্ধি পেলে ডায়াবেটিস রোগ হতে পারে। তাই শর্করা অতিরিক্ত পরিমাণে খাওয়া এবং প্রয়োজনের কম পরিমাণে খাওয়ার বিষয়টি লক্ষ্য করতে হবে।
শরীরে ক্যালরি এবং শর্করার চাহিদা ঠিক মতো পূরন না হলে প্রথম যে উপসর্গ দেখা দিবে সেটি হলো কোষ্ঠকাঠিন্য। কারন শরীরে সকল খাদ্য গুনাগুন পর্যপ্ত পরিমানে পেতে হবে উচিত যে-কোন একটি না পেলে বিভিন্ন সমস্যার সৃষ্টি হয়।ঠিক তেমন শর্করা যুক্ত খাবার না খেলে শরীরে পর্যাপ্ত ভোজ্য আঁশ পায় না । আঁশযুক্ত শর্করা খাবার বেশি পরিমাণে খেতে হবে কারণ এটি শরীরের অপাচ্য পদার্থ দূর করতে সাহায্য করে। হজম তন্ত্রের প্রক্রিয়াকে স্বাভাবিক রাখতে শর্করার ভূমিকা অপরিসীম।
নিয়মিত ব্যায়াম করলে শরীরে শর্করা জাতীয় খাবার দহন হয়। এর পাশাপাশি পেশি সুগঠিত হয়ে থাকে। কিন্তু যদি শরীরচর্চা না করা হয় এর ফলে শর্করা জাতীয় খাবার দহন হয় না যেটি পরবর্তীতে গ্লাইকোজেন পদার্থ দ্রুত গ্লুকোজের পরিণত হয় যেটি শরীরের জমা। এর ফলে দেহের ওজন বৃদ্ধি পায় পাশাপাশি দেহের মেদ বাড়িয়ে দেয়। প্রতিদিন শর্করা বেশি খেলে এই সকল সমস্যা দিনে দিনে বৃদ্ধি পেতে থাকে।
অভাবজনিত রোগ থেকে প্রতিকার পাওয়ার উপায়
শর্করা আর অভাবে জাতীয় খাদ্য দহনে অসুবিধা সৃষ্টি হয়।তাপ ও শক্তি উৎপাদনে কার্বোহাইড্রেট স্নেহ পদার্থকে সাহায্য করে। ফলে শরীরে এক ধরনের বিষাক্ত পদার্থের সৃষ্টি হয় যেটি কে কিটোনবডি বলা হয়ে থাকে।এটি দেহে কিটোসিস নামক রোগ সৃষ্টি করে। তাই দেহে শর্করার অভাব হতে দেওয়া যাবে না। প্রতিদিন পর্যাপ্ত পরিমাণে শর্করা জাতীয় খাদ্য খাদ্য তালিকায় রেখে দিতে হবে। যেমন:- মিষ্টিযুক্ত ফল, বাদাম, কলা ইত্যাদি।
তবে অতিরিক্ত পরিমাণে শর্করা গ্রহণ করলে দেহে স্থূলতা বৃদ্ধি পায়। এর পাশাপাশি দাঁতের ক্ষয় হয়ে থাকে কারণ শর্করা যুক্ত খাবার যেমন :- চিনি, মিষ্টি, গুড় এগুলো বেশি পরিমাণে খেলে দন্ত ক্ষয় হতে পারে এবং অন্যান্য রোগের আক্রমণ বৃদ্ধি পেতে পারে । তাই এ সকল খাবার কম পরিমাণে খেতে হবে।আঁশযুক্ত শর্করা বেশি খেতে হবে।ডায়াবেটিস রোগীদের শর্করা খাওয়ার পরিমাণ কমাতে হবে।
শেষ কথা
শর্করা জাতীয় খাবার প্রতিটি মানুষের খাদ্য তালিকায় পর্যাপ্ত পরিমাণে থাকা উচিত কারণ এটি মানবদেহের শক্তি বৃদ্ধিতে মূল ভূমিকা পালন করে। এই আর্টিকেল এর মাধ্যমে কোন কোন খাবারে শর্করা পাওয়া যায় এবং এর বিভিন্ন গুনাগুন বা অভাবজনিত রোগ সম্পর্কে আলোচনা করেছি। মূল ছয়টি খাদ্য উপাদানের মধ্যে শর্করা একটি তাই শর্করা সম্পর্কে জানা আবশ্যক।শেষ পর্যন্ত থাকার জন্য অত্যন্ত ধন্যবাদ। শর্করা সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে হলে শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি মনোযোগ দিয়ে পড়তে হবে। এরকম আরো গুরুত্বপূর্ণ পোস্ট পেতে সাবস্ক্রাইব করে রাখুন ওয়েবসাইটটি।
মিম ব্লগার আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন।প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url